এবিএনএ : বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থীর ওপর শারীরিক ও মানসিক শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকতে অঙ্গীকার করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষকদের। নিয়োগকালেই শিক্ষকদের কাছ থেকে এমন অঙ্গীকারনামা নেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক শাস্তি বন্ধে জেলা ও উপজেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে মঙ্গলবার চিঠি দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক শাস্তি বন্ধে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক স্লোগান সম্বলিত পোস্টার, ব্যানার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দৃশ্যমান স্থানে লাগাতে হবে। এটি নিশ্চিত করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষার্থীদের উপর শারীরিক ও মানসিক শাস্তির বিষয়টি অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করে শাস্তি প্রদানকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাঠ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ অপরাপর যে কোন কর্মকর্তা বিদ্যালয় পরির্দশনকালীন কোন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপর শারীরিক শাস্তি দেয়া হয় কি না, সে বিষয়টি যাচাই বাচাই করে দেখবেন এবং পরিদর্শন প্রতিবেদনে সুপারিশ করবেন।
শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচনের মানদণ্ড ঠিক করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক শাস্তি দেয়া হয় না, এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের সময় তাদের নিয়োগপত্রে বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থীদের উপর শারীরিক ও মানসিক শাস্তি প্রদান/নির্যাতন করা যাবে না, মর্মে শর্ত অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং এ মর্মে নিয়োগকালে শিক্ষকদের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নিতে হবে।
সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা/উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রতি তিন মাস পর পর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বিভাগীয় উপ-পরিচালক এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভাসহ প্রতিটি উপজেলায় প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় শারীরিক শান্তি দেয়া হচ্ছে কিনা, দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি না, তা আলোচনা করতে হবে।
উল্লোখ্য, ২০১০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এসব তারই সংশোধিত রূপ।